বগুড়া প্রতিনিধি ::: সামাজিক যোগাযোগের আলোচিত বগুড়ার হিলো আলমকে নিয়ে আবারো ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগের পর্দায়। স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করে ঢাকায় সংসার করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।
ছয়মাস আগে কক্সবাজার গিয়ে মডেল-অভিনেত্রী নুসরাত জাহান জিমুকে বিয়ে করলেও এতদিন এ নিয়ে টু শব্দটি পর্যন্ত করেননি কেউ। শেষ পর্যন্ত বিয়ে গোপন করার বিষয়ে মুখ খুললেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী জিমু।
তবে বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন হিরো আলম। তিনি বলেছেন, নুসরাত জাহান জিমুকে নিয়ে মিউজিক ভিডিও ও সিনেমাতে কাজ করেছেন, কিন্তু বিয়ে করেননি।
জানা গেছে, মিডিয়ায় কাজ করার সুবাধে কুড়িগ্রামের মেয়ে নুসরাত জাহান জিমুর প্রেমে হাবুডুবু খান ডিস ব্যবসায়ী থেকে তারকা বনে যাওয়া হিরো আলম ওরফে এমপি হিরো আলম। পরে বিয়ের প্রস্তাব দেন হিরো আলম। একপর্যায়ে কক্সবাজার গিয়ে বিয়েও সারেন তারা। বিয়েতে সাক্ষী হিসেবে ছিলেন হিরো আলমের দুলাভাই আব্দুল মালেক। তারপর থেকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এফ ব্লকে ভাড়া বাসায় একসঙ্গে থাকছেন দুজন।
তবে কিছুদিন ধরে তাঁদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায়ই জিমুকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতেন হিরো আলম। এমনকি বাসা ভাড়াসহ সংসারের খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন হিরো আলম। প্রতিবাদ করলে জিমুকে মারধর করা হতো। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও নেওয়া হয়নি জিমুকে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে নুসরাত জাহান জিমুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান। পরে বিয়ের কথা স্বীকার করেন তিনি।
জিমু বলেন, একসাথে দীর্ঘদিন মিউজিক ভিডিওতে কাজ করছি। আলম আমার প্রতি দুর্বল ছিল। সে আমাকে বিয়ে করার জন্য পাগল ছিল। পরে আলমের বাবা-মা আর ওর বন্ধুদের অনুরোধে বিয়েতে রাজি হই। বিয়ের স্বাক্ষী আলমের দুলাভাই আব্দুল মালেক। বিয়ের পর আলমের বাবা ঢাকায় এসেছিলেন। বাসায় এসে আমাদের আশীর্বাদ করে গেছেন। আমিও বিয়ের পর আলমের বাড়িতে (বগুড়া) গেছি। তবে ওর আগের স্ত্রী বাড়িতে থাকেনা। মামলার ঝামেলার পর থেকে বাপের বাড়ি থাকে।
নুসরাত জাহান জিমু আরও বলেন, সে চায় মানুষ তাকে মাথায় তুলে রাখুক, হিরো আলম সে হিরো হয়ে থাকতে চায়। বিয়ের কথা প্রকাশ পেলে জনপ্রিয়তা কমে যাবে এই ভেবে বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করতে নিষেধ করেছিল এতদিন, তাই কাউকে জানাইনি।
তিনি বলেন, হিরো আলম দু’দিন পরপর একেক মেয়েকে বিয়ে করবে, অত্যাচার-মারধর করে ডিভোর্স দিবে। তার প্রথম স্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছিল টা একদম সঠিক। বউ পেটানো তার নেশা হয়ে গেছে। অত্যাচার করে সব সময়।
এই তরুণী বলেন, বিয়ের করার জন্য একসময় যেমন পাগল ছিল, আজ তেমনই ছাড়ার জন্য পাগল। এখন আর আমার প্রয়োজন নেই। আজকে কঠোরভাবে কথা বলছি, আসলে চোখ দিয়ে পানি ঝরতে ঝরতে আর পানি বের হচ্ছে না।
এসময় তিনি আত্মহত্যারও হুমকি দেন। বলেন, আমি মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত। আমার লাইফটা নষ্ট করে দিয়েছে আলম। আমি আর বাঁচতে চাই না, আমি মরে গেলে সে আর কোনো মেয়ের সঙ্গে এমন করতে পারবে না। আমি চাই সে ভালো হয়ে যাক, ওর ছেলে-মেয়ে আছে, ওর একটা শিক্ষা হওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে হিরো আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জিমুকে নিয়ে একাধিক মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছি, তাই বলে তাকে বিয়ে করেছি এমনটা ঠিক নয়। ‘নুসরাতের সাথে বসুন্ধরার বাসায় সংসার করছেন?’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
উল্লেখ্য যে, মিডিয়া জগতের আলোচিত বগুড়ার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম ওরফে এমপি হিরো আলম ইতিপূর্বে তার স্ত্রীকে মারপিটের কারনে তার শ্বশুড় বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটা মামলা দায়ের করেন উক্ত মামলায় আলোচিত হিরো আলম গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করেন।