নিউজ ডেস্ক : এবার ঢাকার সাভার উপজেলায় আলোচনায় রয়েছে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’। এটি একটি মুররাহ জাতের কালো ষাঁড় মহিষ। যার দৈর্ঘ্য সাড়ে ৯ ফুটের বেশি। উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। মহিষটির ওজন ৩০ মণ।
এটি বেড়ে উঠেছে সাভার উপজেলার আশুলিয়ার গণকবাড়ী শ্রীপুর এলাকার কাইয়ুম এগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি খামারে। ধারণা করা হচ্ছে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ষাঁড় মহিষ।
কালো বর্ণের এবং শরীরের আকারে সন্তুষ্ট হয়ে ভালোবেসে খামারের মালিক আব্দুল কাইয়ুম এই ষাঁড় মহিষটির নাম দিয়েছেন ব্ল্যাক ডায়মন্ড।
ব্ল্যাক ডায়মন্ড এবার কোরবানির হাট কাঁপাবে বলে ধারণা খামারির। মহিষটি এবার সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রি হবে বলে ধারণা তার। মালিক মহিষটির দাম হেঁকেছেন ১০ লাখ টাকা। মহিষটি দেখতে প্রতিদিন মানুষ আব্দুল কাইয়ুমের খামারে ভিড় করছেন।
খামারের কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশীয় প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মোটাতাজা করার প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনমতো খাবার ও পরিচর্যায় মহিষটির আকৃতি বাড়তে থাকে। মহিষটি ছিপছিপে কালো হওয়ায় খামারের মালিক আদর করে নাম দেন ব্ল্যাক ডায়মন্ড। দিন দিন ওজন বেড়ে মহিষটি ৩০ মণে এসে দাঁড়ায়।
খামারের মালিক আব্দুল কাইয়ুম জানান, আমাদের জানামতে ব্ল্যাক ডায়মন্ড এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় মহিষ। ব্ল্যাক ডায়মন্ডের খাদ্যতালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, খড়, গমের ভুসি, ধানের কুঁড়া, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া, তৈলবীজের খৈল, ছোলা, চিটাগুড় ও খুদের ভাত। সব মিলিয়ে মহিষটি প্রতিদিন গড়ে পৌনে এক মণের বেশী খাবার খায়। এতে খরচ হচ্ছে প্রায় ১০০০ টাকা।
সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব বলেন, উপজেলায় কোরবানিকে কেন্দ্র করে যেসব পশু প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কাইয়ুম এগ্রোর ব্ল্যাক ডায়মন্ড নামের মহিষটি সবচেয়ে বড়। যারা কোরবানির জন্য বড় ও ফ্রেশ পশু চান, তারা ব্ল্যাক ডায়মন্ড নিতে পারেন। এই পশু পালন খুবই লাভজনক।