রুদ্র রাসেল : চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিকটে ১২৭ নং কক্ষকে আইসোলেশন ওয়ার্ড করে করোনা আক্রান্ত রোগী রাখা নিয়ে সাধারণ রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অনেক রোগী পুরো পুরি সুস্থ হওয়ার পূর্বেই স্বেচ্ছাই ছুটি নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন নিজ বাড়িতে।
গত ১৬ই মার্চ সোমবার সকাল ১১টার দিকে ইতালী ফেরত সাব্বির আহম্মেদকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখেন। গত ১৬ই মার্চ সোমবার সকাল ১১টার দিকে সাব্বির আহম্মেদকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখেন। ঐদিনই সাব্বির আহম্মেদ করোনা আক্রান্ত কি না তা নিশ্চিত হতে যশোর থেকে আইইডিসিআর এর একজন প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা এসে সোয়াব সংগ্রহ করে ঢাকা পাঠায়। এদিকে, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) রিপোর্টের ফলাফল পেয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটায় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান সাব্বির আহম্মেদ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নিশ্চিত করে জানালে হাসপাতালের চিকিৎসা নিতে সাধারণ রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
হাসপাতালের করোনা রোগী থাকায় এবং বিশ্ব জুড়ে করোনার প্রকোপে হাসপাতালের রোগীদের উপস্থিতি কমেছে। যে সকল রোগী হাসপাতালের আসছেন, তাদের অনেকেই হাসপাতালের ১২৭ নং কক্ষ আইসোলেশন ওয়ার্ডের সামনে দিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ড থেকে ছুটি নেয়া আনোয়ার হোসেন নামের এক রোগীর সাথে কথা বল্লে তিনি জানান, বুকে ব্যথা নিয়ে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। তবে জানতে পেরেছি হাসপাতালে ভর্তি আছে করোনা আক্রান্ত হওয়া এক রোগী। আমি হাসপাতালের ভর্তি থাকাই প্রতিদিনই পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে আসছে। করোনা রোগীর এতো কাছে থাকলে যদি আমাদেরও করোনা ভাইরাস ধরে ফেলে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। বাড়িতে নিয়োমিত ওষুধ খেলে সুস্থ হয়ে যাবো। হাসপাতালের ভর্তি থাকতে ভয় পাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, হাসপাতালের ১২৭ নং কক্ষের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা শনাক্ত এক রোগী চিকিৎসাধিন রয়েছে। ঐ রোগীর থেকে যেনো অন্য কারো করোনা না ছড়াই তার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এদিকে, পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পূর্বেই রোগীদের ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরোও বলেন, যেখানে অনেক মানুষের আনাগোনা সেখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশী। এ জন্য জরুরি না হলে কোন রোগীকে হাসপাতালে না নিয়ে নেয়াই শ্রেয়। ঠিক তেমনি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের যাদের পরবর্তি চিকিৎসা বাড়িতেই সম্ভব তাদের হাসপাতালে না থেকে বাড়িতে থাকায় বেশি নিরাপদ। এতে রোগী এবং রোগীর স্বজনেরা নিরাপদে থাকবে। এ জন্য যে সকল ভর্তি রোগীরা অনেকটাই সুস্থ হয়েছে তাদেরকে চিকিৎসাব্যবস্থাপত্রের মাধ্যমে পরবর্তি চিকিৎসা দিয়ে ছুটি দেয়া হচ্ছে। এদিকে, ভর্তি থাকা অনেক রোগী একটু সুস্থ বোধ করলে পরিবারের এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিড়ে যাচ্ছে। যা রোগী, রোগীর স্বজন, চিকিৎসক সকলের জন্যই ভালো।