সাইদুর রহমান ::: উন্নয়নের মূল স্রোতে আনতে প্রতিবন্ধীদেরকে কর্মমূখী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। পরনির্ভরশীলতা কমাতে দক্ষতা উন্নয়নে সময়োপযোগি বিষয়ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা ও পরবর্তীতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে । এজন্য জাতীয় বাজেটে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে।
ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় বাজেট ২০২০-২০২১: করোনায় অনিশ্চিত জীবন-জীবিকা এবং প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের বাজের প্রত্যাশা শীর্ষক অনলাইন আলোচনা সভায় বক্তারা এমন মন্তব্য করেছেন। চুয়াডাঙ্গার বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা বুধবার সকালে এই সভার আয়োজন করে।
প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ৩০৩ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ শবনম জাহান শিলা. ডিআরআরএ’র নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন সিডিডি-র নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম নোমান. মানুষের জন্য ফাউণ্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী নাজরানা ইয়াসমিন হিরা, ডেপুটি ম্যারেজার গ্রান্টস্ আজিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, এডাবের পরিচালক জসীম উদ্দিন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক মাথাভাঙ্গার সম্পাদক ও প্রকাশক সরদার আল আমিন ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান, দৈনিক প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি শাহ্ আলম সনি, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের সভাপতি জাকারিয়া আলম, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, জাতীয় রবিন্দ্র সংগিত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লাইলা শিরিন, বাংলাদেশ রুরাল ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট এর নির্বাহী পরিচালক শহিদুল ইসলাম, গন উন্নয়ন কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ প্রকল্প কর্মকর্তা কিশোর কুমার সরকার ও কম্প্যাক্ট ফাউণ্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক কামরু্জ্জামান কাঞ্চন অংশ নেন।
আলোচকদের বক্তব্যে উঠে আসে করোনাকালে প্রতিবন্ধীরা বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে চরম প্রতিকুলতার মধ্যে সময় পার করছে। এসময় সরকারের কাছে দাবি করা হয়। উল্লেখযোগ্য দাবিসমুহ হচ্ছে, সকল অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পরিবারের জন্য আগামী ৯ থেকে ১২ মাসের খাদ্য রেশনের ব্যবস্থা ।অনলাইন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা কার্যক্রম প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে বাজেট বরাদ্দ রাখতে ।প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করা। সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য বিশেষ বীমা কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ । কর্মরত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় পেনশন স্কীম চালু করা । করোনায় যে সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চাকরি হারাবে এবং যারা বেকার অবস্থায় রয়েছে তাদের জন্য বেকার ভাতার ব্যবস্থা । সাধারণ স্বাস্থ্য সেবা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপযোগী ও প্রবেশগম্য। বেকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যমেয়াদে তাদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি অত্যাবশ্যক। সুতরাং এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা। সকল আশ্রয় কেন্দ্র, ভৌত অবকাঠামো, বাস স্ট্যান্ড, নৌ-টার্মিনাল, ট্রেনের প্ল্যাটফর্মসহ সকল গণসেবা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশ গম্য করতে বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর পরিধি বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা বেষ্টনীর কার্যক্রমে তাদের অগ্রাধিকার প্রদানে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা। অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা জন প্রতি মাসিক ন্যূনতম ১৬শ টাকায় উন্নীত করার জন্য সুপারিশ। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিষয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বাজেটে প্রতিফলন রাখা। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে প্রযুক্তি খাতে বাজেট বরাদ্দের সুপারিশ করেন বক্তরা।
করোনাকালীন শিল্প কারখানায় প্রতিবন্ধী কর্মীদের ছাঁটাই না করা এবং পূর্নবেতন ভাতা দিতে শিল্প ও বাণিজ্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
BDC News71