শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘টেগোর পিস অ্যাওয়ার্ড’ (ঠাকুর শান্তি পুরস্কার) পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে তাজমহল হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই পুরস্কার তুলে দেন কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি আশা মোহাম্মদ। শেখ হাসিনার আগে বিশ্বশান্তির অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা এ পুরস্কার পেয়েছেন। শান্তির জন্য অবদান রাখা ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
পুরস্কার গ্রহণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ব বর্তমানে সংঘাতের দিকে যাচ্ছে। সেখানে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, মাদকসহ নানা ধরনের সামাজিক অবক্ষয় আমরা দেখি। এগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোই সবচেয়ে বড় কথা। আর সেটাই আমরা সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছাড়া একটি জাতি, দেশ কখনো উন্নতি করতে পারে না। কারণ সংঘাত সব সময় ধ্বংস ডেকে নিয়ে আসে। শান্তি উন্নতি ও সমৃদ্ধি দেয়। সমৃদ্ধির পথে যাত্রা শুরু করতে গেলে সে পথ কখনো শেষ হয় না, বন্ধুর পথ হয়। কঠিন পথ হয়। সেই কঠিন পথই অতিক্রম করতে হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংঘাত নয়, ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে সব সময় কাজ করেছি শান্তির জন্য, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য। মানুষকে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্ত করে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার। সবার জন্য বাংলাদেশে এখন জ্ঞানচর্চার সুযোগ হয়েছে, বিশেষ করে কবি-সাহিত্যিকদের জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব সময়ই শান্তির পক্ষে। আমার কাজের মাধ্যমে তার প্রতিফলনের চেষ্টা করি। এই পুরস্কারের জন্য আমাকে মনোনীত করে আঞ্চলিক শান্তি এবং সমৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমার ক্ষুদ্র অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এ জন্য আমি এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এ পুরস্কার আমাকে এবং আমাদের সরকারকে নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতে বৈশ্বিক শান্তি রক্ষায় অধিকতর অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকারের অবস্থান থেকেই আমরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’