আজ মঙ্গলবার ⮞ ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ⮞ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
  • ফরিদপুর বোয়ালমারীতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর পক্ষে পাঁচ শতাধিক কম্বল বিতরণ
  • পবিত্র কুরআনের হাফেজ হলেন ১০ বছরের শিশু ফাহমিদা জান্নাত ইভা
  • চুয়াডাঙ্গাতে ১০ বোতল বিলাতি মদ সহ ০১ জন আসামী আটক
  • লামায় ১৬ ডিসেম্বর উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
  • আলমডাঙ্গার চিৎলায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
  • যশোরের শার্শায় সড়ক দৃর্ঘটনায় নিহত১
  • চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল-পাখিভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
  • দামুড়হুদার নতিপোতা ইউনিয়ন এপেক্স কমিটির অর্ধ বার্ষিকী সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
  • প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে ওষুধ, থেরাপি, সাধারন চিকিৎসা, অন্তর্ভুক্তিমুলক স্বাস্থ্য ও পূণবার্সন সেবা প্রদান বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত।
  • আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
  • জেনে নিই

    ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়ছিলেন মেধাবী মেহেদী হাসান খান। কিন্তু শিক্ষকরা বলেছিলেন, এই ছেলে ডাক্তার হওয়ার অযোগ্য। মেডিকেল কলেজ ছেড়ে দেওয়া উচিত মেহেদীর। কারণ ডাক্তারির পড়াশুনা বাদ দিয়ে, দিন-রাত এক করে, খাওয়া-ঘুম ভুলে হস্টেলের ঘরেই একটা ছোট্ট কম্পিউটার সম্বল করে মেহেদী তখন লড়ছিলেন অন্য লড়াই। বাংলা ভাষার জন্য লড়াই।

    ১৮ বছর বয়সের যুবক স্বপ্ন দেখছিলেন বাংলা ভাষাকে সারা পৃথিবীর কাছে খুব সহজে পৌঁছে দেওয়ার। কম্পিউটারে বাংলা লিখতে তাঁর খুব অসুবিধা হয়, এবং সেই পদ্ধতি মেহেদীর পছন্দ নয়। তাই তিনি চান এমন একটা সফটওয়্যার, যার সাহায্যে ইংরেজি অক্ষরে টাইপ করেই বাংলা লেখা সম্ভব।

    বন্ধুরা মেহেদীকে বলে পাগল, ডাক্তারি পড়তে এসে কেউ সময় নষ্ট করে! তাও আবার নাকি বাংলা লেখার সুবিধার্থে! কিন্তু মেহেদী মেহেদীই। বাংলা ভাষার জন্য তাঁর দেশের মানুষ প্রাণ দিতে পারেন, আর সেই বাংলাকে লেখার দিক থেকে সহজ করতে কেরিয়ার বিসর্জন দিতে পারবেন না! হাল ছাড়েননি মেহেদী।

    ২৬ মার্চ,২০০৩ সাল, মেহেদীর জীবনে শুধু নয়, লক্ষ লক্ষ বাঙালির জীবনের একটি বিশেষ দিন। সেই দিন মেহেদী বিশ্বের সামনে আনলেন ‘অভ্র’ সফটওয়ার। যা আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের সব চেয়ে পছন্দের বাংলা রাইটিং সফটওয়ার। আজ বাঙালির কম্পিউটার, ল্যাপটপ খুললেই স্ক্রিনে একটি স্লোগান ভেসে ওঠে , ‘ভাষা হোক উন্মুক্ত’। এটিই ডাক্তার মেহেদী হাসান খানের তৈরি করা স্লোগান। তাঁর স্বপ্ন ছিল, ভাষাকে উন্মুক্ত করতে হবে সবার জন্য, বেঁধে রাখা যাবে না জটিলতার নাগপাশে।

    আজ কিন্তু তিনি ডাঃ মেহেদী হাসান খান। হাজার তাচ্ছিল্য সত্ত্বেও তিনি ‘অভ্র’ আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করেছেন ডাক্তারিও। আজ ভারত ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারি দপ্তরেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘অভ্র কিপ্যাড’। লেখা হচ্ছে সরকারি ফাইল থেকে পরিচয়পত্র। মেহেদীর এই আবিষ্কার বাঁচিয়ে দিয়েছে দুই দেশের কোটি-কোটি টাকা। যার জন্য এত কিছু, সেই মানুষটাকে আমরা চিনিই না। চিরকাল প্রচারবিমুখ, ৩২ বছরের এই বিনয়ী তরুণ বাংলা ভাষার জন্য এত বড় অবদান রেখে গেলেও, রয়ে গেলেন প্রচারের আলোর বাইরেই।

    Total Page Visits: 1381 - Today Page Visits: 2

    এরকম আরো খবর

    বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস

    বাংলাদেশে

    আক্রান্ত
    সুস্থ
    মৃত্যু

    বিশ্বে

    আক্রান্ত
    সুস্থ
    মৃত্যু

    Recent Posts