এম.এ.আর নয়ন, স্টাফ রিপোর্টার:
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ক্রেতা ও বিক্রেতারদের উপস্থিতিতে ব্যাপক জমে উঠেছে পুরাতন মোটরসাইকেলের হাট। আলমডাঙ্গা পৌর বাস টার্মিনালে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটে বেচাকেনা চলে। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা, বিক্রেতা ও দর্শনার্থী এসে ভিড় জমায় এই হাটে।
শুধু চুয়াডাঙ্গা জেলা নয়, পাশের জেলা কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং মেহেরপুর থেকে ও বিক্রেতারা এই হাটে আসে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি বিক্রি এবং চাহিদার মধ্যে থাকা কমবাজেটে পুরাতন মোটরসাইকেলটি ক্রয় করার জন্য। এটিই হলো চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রথম ও বৃহত্তম পুরাতন মোটরসাইকেলের হাট।
মোটরসাইকেল কেনা ও বিক্রি করার পেশায় জড়িয়ে রয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল ক্রয় করে এই হাটে নিয়ে আসেন বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। আবার অনেক সময় হাট থেকেও মোটরসাইকেল কিনে থাকেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলটি ও বিক্রি করতে এই হাটে আসেন আশেপাশের অনেক জেলার মানুষ। ক্রেতা-বিক্রেতাদের জায়গার সঙ্কুলান না হওয়ার কারণে আশেপাশে জায়গা বাড়ানোর কার্যক্রম শুরু করেছেন হাট কর্তৃপক্ষ।
হাটে দেশের মানুষের ব্যবহারযোগ্য প্রায় সবধরনের পুরাতন মোটরসাইকেল পাওয়া যায়। বিভিন্ন ব্রান্ডের ৫০ সিসির মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে ১৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল এই হাটে পাওয়া যায়। হট কর্তৃপক্ষ ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সবধরনের সহযোগিতা করে থাকেন।
৩০ টাকার একটি টিকেট নিয়ে হাটে প্রবেশ করতে হয় বিক্রেতাদের। এরপরে গাড়িটি বিক্রি হলে ক্রেতা ও বিক্রেতা মিলে গুনতে হয় ১ হাজার টাকা খাজনা। পুরাতন মোটরসাইকেলের হাট চালু হওয়ার কারণে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই সুবিধা ভোগ করছেন আলমডাঙ্গার এই পুরাতন মোটরসাইকেলের হাটের।