ডেস্ক নিউজ ::: স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রুবাইয়াৎ শারমিন রুম্পা, পড়াশুনার পাশাপাশি দুটো টিউশনিও করতো। ঘটনাটি রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকার। এটা কিন্তু কোন সাধারণ মৃত্যু নয়, পাশবিক ধর্ষণ করে এই মেয়েটিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে । আবারও এক মায়ের বুকে শূন্যতা, নিষ্ঠুর আর্তনাদ ! এমন বীভৎস মৃত্যু আর কতকাল ? পুলিশ বলছে, তরুণীকে সিদ্ধেশ্বরীর কোনো ভবন থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধারণা করা হচ্ছে, ওই তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, রুম্পার মেরুদণ্ড, বাঁ হাতের কনুই ও ডান পায়ের গোড়ালি ভাঙা। তার মাথা, নাক, মুখে জখম এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। বুকের ডান দিকেও ক্ষত চিহ্ন দেখা গেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দাসহ উপস্থিত কয়েকজন জানান, সিদ্ধেশ্বরীর সার্কুলার রোডে উপুর হয়ে মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। বহুতল ভবন থেকে নিচে পড়লেও নিহতের নাক-মুখ থেকে সামান্য রক্ত নির্গত হয়। শরীরও ছিল ঠান্ডা। পলিথিন ব্যাগে নিহতের স্যান্ডেল পড়েছিল লাশের পাশেই। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় তারা ধারণা করছেন, মেয়েটিকে বুধবার দুপুরের দিকে হত্যা করে লাশ ফেলা হয় রাতে। শরীর হীম হওয়ার কারণে বহুতল ভবন থেকে পড়লেও রক্ত বের হয়নি। রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, নিহত রুম্পার বাবা রোকন উদ্দিন হবিগঞ্জ সদরে পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় হলেও রাজধানীর শান্তিবাগে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন রুম্পা। রূম্পার হত্যার প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে সোচ্চার হওয়া এইমুহুর্তে সবচেয়ে জরুরি। বাবা পুলিশ অফিসার হবার পরেও লোলুপ ধর্ষক আর খুনীদের কবল থেকে রূম্পা বাঁচতে পারেনি, বীভৎস এই মৃত্যু হবার কথা ছিল না ওর। রুম্পার খুনীদের কোনভাবেই মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে দেওয়া যাবে না। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রতিবাদ আর সোচ্চার কণ্ঠের শক্তিই পারে রূম্পা খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের মুখোমুখি করতে।